ময়মনসিংহের ভালুকায় গার্মেন্টস শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে নারকীয় উৎসবের মধ্য দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, বস্ত্রহীন করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দেশে এখন প্রাণের অধিকার ও আইনের শাসন কার্যত অনুপস্থিত। এমনকি সরকারের কোনো কার্যকর অস্তিত্ব আছে বলেও মনে হয় না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভালুকার এই হত্যাকাণ্ড নিছক কোনো বিচ্ছিন্ন নৃশংস ঘটনা নয়; বরং সমাজ থেকে মনুষ্যত্ব ও যুক্তিবোধ বিলুপ্ত হওয়ার ভয়াবহ নজির।
হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া কিংবা নীরব দর্শক হিসেবে উপস্থিত শত েশত মানুষের পৈশাচিক আচরণ একটি গভীর সামাজিক মনোবৈকল্যের ইঙ্গিত দেয়। এর অভিঘাত থেকে পুণ্যবান-পাপী, ধার্মিক-অধার্মিক, মুসলিম-হিন্দু—কেউই রেহাই পাবে না।
তারা বলেন, গুটিকয়েক উন্মত্ত ব্যক্তি ও উগ্র ডানপন্থী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ছাড়া এমন বর্বর সমাজ কেউ চায় না। ভালুকাসহ সারা দেশে চলমান এসব বীভৎসতার মূল কারণ হলো ন্যূনতম আইনের শাসনের অনুপস্থিতি।
এর ফলে দেশে প্রাণের অধিকার বলেও কার্যত কিছু অবশিষ্ট নেই। দেশের এই শোচনীয় পরিস্থিতির দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই নিতে হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হয় দেশে কোনো সরকারের অস্তিত্ব নেই, অথবা সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদেই দ্বৈত শাসনব্যবস্থা চালু হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার যে সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছে, বাস্তবে সেই সংবিধান ও প্রচলিত আইন পাশ কাটিয়ে শরীয়া আইন প্রয়োগের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এরই নির্মম শিকার হয়েছেন মিথ্যা অপবাদের দায়ে নিহত গার্মেন্টস শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস।
