উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে রাজশাহীকে জেতালেন শান্ত

বিপিএলের ১২তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ইনিংসে ভর করেই ৮ উইকেটের জয়ে শুভসূচনা করেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।

শুক্রবার সিলেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে শিশিরের প্রভাবের কথা চিন্তা করে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহীর অধিনায়ক শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে পারভেজ ইমন-আফিফ হোসেনের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের ভালো সংগ্রহ তোলে সিলেট।

জবাব দিতে নামা রাজশাহীর শুরু ভালো হয়নি। ৩ ওভারে ১৯ রান যোগ করে ওপেনার তানজিদ তামিম ফিরে যান। ৮ বলে ১০ রান করেন তিনি। দলের ৬২ রানে আউট হন পাকিস্তানি ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। ১৯ বলে ২০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সেখান থেকে ১৩০ রানের জুটি গড়ে জেতান টি-২০ দলের বাইরে থাকা নাজমুল শান্ত এবং সাদা বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলা মুশফিকুর রহিম।

শান্ত ৬০ বলে ১০১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ১০টি চার ও পাঁচটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। বিপিএল নিলাম থেকে সরাসরি দল না পাওয়া মুশফিক ৩১ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারের শটে ৫১ রান যোগ করেন। চারের শট মেরে দলকে জেতানোর সঙ্গে কানে আঙুল দিয়ে ফিফটি উদযাপন করেন তিনি।

সিলেটের হয়ে উইকেট দুটি পেয়েছেন খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

আগে ব্যাটিং করে উড়ন্ত সূচনায় ৪ ওভারেই যোগ হয় সিলেটের বোর্ডে ৩৬। যার মধ্যে ২৮ রানই করেন পাকিস্তানের সাইম আইয়ুব। কিন্তু চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংস সাজিয়ে তিনি সাজঘরে ফেরেন বিনুরা ফার্নান্দোর বলে তানজিদ হাসান তামিমকে ক্যাচ দিয়ে। পতন হয় সিলেটের প্রথম উইকেটের। পাওয়ার প্লেতে আসে ১ উইকেটে ৪৫ রান।

৩২ রানের জুটি হয় দ্বিতীয় উইকেটে। দুই চার ও ১ ছক্কায় ১৮ বলে ২০ রান করে আরেক ওপেনার রনি তালুকদারকে সঙ্গ দিতে থাকা আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ স্টাম্পিং হন সন্দিপ লামিচানের বলে। ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও জাজাই বিদায় নিলে ৬৮ রানে ২ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

টিকে থাকলেও ধীরগতিতে খেলতে থাকেন রনি তালুকদার। তবে তাকে সঙ্গ দিতে আসা পারভেজ হোসেন ইমন চড়াও হতে থাকেন রাজশাহীর বোলারদের ওপর। তিনি ব্যাটিং করেন শেষ পর্যন্ত। ফলে ইমনকে সঙ্গ দিতে শুরু করেন রনি। ৪ চারে ৩৪ বলে ৪১ রান করেন তিনি। আউট হন লামিচানের বলে বোল্ড হয়ে। ১০৪ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইটান্স।

পারভেজ হোসেন ইমন অবশ্য থামেননি। চড়াও হয়েছেন রাজশাহীর বোলারদের ওপর। ৩৩ বলে ৫টি ছক্কা ও ৪টি চারে খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস। ৪৬ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন ইমন। ৮৬ রানের জুটি গড়েন তার সঙ্গে আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ৩৩ রান করেন আফিফ।

ইনিংসের শেষ দুই বলে আফিফ রানআউট ও ইথান ব্রুকস তানিজম হাসান সাকিবের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে ৫ উইকেটে ১৯০ রান সংগ্রহ করে সিলেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *