নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে রাশেদ খাঁন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক অডিও বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ধানের শীষের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাশেদ খাঁন বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ নিবেন বলেও উল্লেখ করেছেন নুর। বলেছেন, কৌশলের জন্য দল থেকে তাকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অডিও বার্তায় নুরুল হক নুর বলেন, ফ্যাসিবাদের উত্তাল সময়ে বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদসহ প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল ও জোট আমরা ফ্যাসিবাদ পতনের এক দফার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করেছিলাম। সে সময় থেকেই আমাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছিল যে ফ্যাসিবাদ পতন পরবর্তী রাষ্ট্রকে নতুনভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা রাষ্ট্র সংস্কার করব। সেই লক্ষ্যে আমরা যারা যুগপৎ আন্দোলন করছি, একসাথে নির্বাচন এবং একসাথে আগামীতে জাতীয় সরকার করব।
তিনি বলেন, বর্তমান আরপিওর (গণপ্রতিনিধিত্ব আইন) বিধান অনুযায়ী জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজের মার্কায়, স্বাভাবিকভাবেই সব এলাকায় হয়তো সব মার্কা নিয়ে সবাই জয় লাভ করতে পারবে না।
যে কারণে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের অনেকেই নির্বাচনে জেতার কৌশল হিসেবে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ নিয়ে ধানের শীষে নির্বাচন করছে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু আমরা একসাথে সরকারও করব, আন্দোলন করেছি, আন্দোলন পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী গত দেড় বছরে আমরা নিজেরা আলাপ-আলোচনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে একই স্ট্যান্ডে কাজ করেছি, সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন ঝিনাইদহ-৪ থেকে নির্বাচন করছে, সেখানে নির্বাচনের জয়লাভের কৌশলের জন্য আমরা তাকে দল থেকে এটা অনুমতি দিয়েছি তিনি ধানের শীষে নির্বাচন করবেন এবং গণঅধিকার পরিষদের পদ থেকে রিজাইন করবেন। আমরা খুব শীঘ্রই একজনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেব।
