যেকোনো মুহূর্তে যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ইনকিলাব মঞ্চের

যেকোনো মুহূর্তে যমুনা ও সংসদ ভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় চলমান বিক্ষোভে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, কাউকেই সেফ এক্সিট দেওয়া হবে না।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে ইনকিলাব মঞ্চ।

শাহবাগে কর্মসূচি চলাকালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘যাঁরা ভাবছেন, কিছুদিন ক্ষমতায় থেকে বিদেশে পাড়ি জমাবেন, তাঁদের সেই স্বপ্ন সফল হবে না। রক্তের সঙ্গে বেইমানি করলে এই জমিনেই আপনাদের বিচার করবে জনতা। হাদির খুনের বিচার না করে কাউকেই সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) দেওয়া হবে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়ের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।’

বিক্ষোভস্থল থেকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এলেও তাঁরা খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসার দাবি করা এই প্রশাসনের জন্য এটি চরম লজ্জার বিষয়।

উপদেষ্টাদের কাছে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা প্রশ্ন করেন, ‘হাদি হত্যার বিচারে কারা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? যারা এই খুনের পেছনে রয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করুন। আমরা আপনাদের পাহারা দেব। ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু বিচার করতে ব্যর্থ হলে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে একটি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে মাথায় গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তিন দিন পর ১৮ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *